পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংলিশদের বিপক্ষেইংলিশদের বিপক্ষে। পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ছিলেন না পরের প্রায় দুবছর। খেলেননি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও। মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন। প্রত্যাবর্তনে ফিরে পেয়েছেন অধিনায়কত্বও।







মার্চ-এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরের আসর। যেখানে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বিসমাহ। ১৫ সদস্যের দলে তার ডেপুটি আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নিডা ডার।
প্রথম সন্তান জন্মদানের জন্য ২০২০ সালে ছুটি নেন বিসমাহ। ৪ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত নিতেই ডাক পড়ল। দলের সাথে থাকার সময় তার সন্তানকে দেখভালের জন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পিসিবির নিয়মে আছে, দলের কোনো নারী ক্রিকেটার যদি সন্তান সঙ্গী করে সিরিজে বা সফরে থাকেন, সেসময় তার সন্তানকে দেখভালের জন্য পাকিস্তান বোর্ড একজনকে নিয়োগ দেবে।







এমনকি দেখভাল করা ব্যক্তির যাবতীয় খরচও বহন করবে। আরও একটি সুবিধা দেবে বোর্ডটি, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা কোনো ক্রিকেটারের পুরো বছরের বেতন দেবে তারা, যে ছুটি থাকে ১২ মাস পর্যন্ত।
পুরনো দায়িত্ব ফিরে পেয়ে এবং বোর্ডের এমন উদ্যোগে খুশি বিসমাহ, ‘আরেকটি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দেয়া গর্বের। ফিরতে পেরে রোমাঞ্চিত। যা ভালোবাসি তা করব এবং জীবন উৎসর্গ করে খেলব।’
বাছাইপর্বে খেলা কাইনাত ইমতিয়াজ এবং সাদিয়া ইকবাল স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। দলের সঙ্গে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন ব্যাটার ইরাম জাভেদ, অলরাউন্ডার তুবা হাসান ও উইকেটরক্ষক নাজিহা আলভি।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলঃ
বিসমাহ মারুফ (অধিনায়ক), নিডা ডার, আইমান আনোয়ার, আলিয়া রিয়াজ, আনাম আমিন, ডিয়ানা বাইগ, ফাতিমা সানা, গুলাম ফাতিমা, জাভেরিয়া খান, মুনিবা আলি, নাহিদা খান, নাসিরা সান্ধু, ওমাইমা সোহাইল, সিদ্রা আমিন ও সিদ্রা নওয়াজ।






