নাহিদুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি খুলনা বিভাগ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন। ১ নভেম্বর ২০১৬ সালে ২০১৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলে তিনি টি- টোয়েন্টি (টি ২০) ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।







দুজনের কেউই খেলেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এমনকি জাতীয় দলে কেউ কখনও ডাকও পাননি। অথচ নাহিদুল ইসলাম ও তানভীর ইসলামই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। তাদের স্পিন মুগ্ধ করেছে কুমিল্লার পরামর্শক, প্রখ্যাত কোচ স্টিভ রোডসকে।
কুমিল্লার দুটি ম্যাচেই নাহিদুল ও তানভীর দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মিরপুরের উইকেটকে কাজে লাগিয়ে ধাঁধায় ফেলেছেন ব্যাটারদের। রান খরচের দিক থেকেও ছিলেন অনেক মিতব্যয়ী। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটও আদায় করে নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও নাহিদুল ও তানভীরের এমন বোলিং মূল্যায়ন করতে গিয়ে তাদের প্রশংসায় ভাসালেন রোডস। তিনি বলেন, ‘নাহিদুল ও তানভীর এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি।
কিন্তু দুজনই স্মার্ট। তারা তাদের বোলিং সম্পর্কে জানে, জানে তারা কী করতে পারে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে। অনুশীলনে তাদের দেখে আমি মুগ্ধ। তারা বুদ্ধিমান ক্রিকেটার।’







মাঠের কাজটুকু খেলোয়াড়দেরই করতে হয়। নাহিদুল আর তানভীর তা করতে পারায় রোডসের চোখেমুখে তৃপ্তি, যথারীতি কণ্ঠেও তার ছাপ।
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মাঠে পাঠানোর পর তাদেরই খেলতে হয়, সালাউদ্দিন হয়ত একটুআধটু পরামর্শ দিতে পারে। দায়িত্ব নিয়ে তারা ভালো বোলিং করছে। কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে।’
নাহিদুল ও তানভীরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কুমিল্লার অন্য বোলারদের কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে। পেসাররা যে পিছিয়ে আছেন, এমনও নয়।
মুস্তাফিজুর রহমান তার ধারাল বোলিং নিয়ে হাজির বিপিএলেও। রোডস মনে করেন, ২০১৯ সালের মুস্তাফিজের চেয়ে এখনকার মুস্তাফিজ আরও বেশি ধারাল।







তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ এখন আগের চেয়েও ভালো একজন বোলার। আমি এখানে থাকতে তাকে যেমন দেখেছিলাম এখন সে তার চেয়েও ভালো। সবাই জানে সে কী করতে পারে। ওয়ানডের জন্য কিছু জিনিসে সে উন্নতি করেছে।’